স্বাগতম...! আমাদের পেজটি ভিজিট করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত
ভর্তি হতে ইচ্ছুক?
ABOUT INSTITUTES
ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটস
যদিও যাত্রা তেমন মসৃণ ছিল না। স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটগুলি তাদের যাত্রায় অসম্ভব পরিশ্রমী এবং আন্তরিক সহযোগীদের পায়। প্রতিষ্ঠানের একটি নীতিবাক্য থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুকূল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে।
একাডেমিক শিক্ষার মান বজায় রাখা তাদের লক্ষ্য হিসাবে তারা সমস্ত শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিক বিকাশের জন্যও কাজ করে। আমাদের ইনস্টিটিউটে আমরা সবসময় এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করি যা সব ধরনের মাদক ও তথাকথিত ছাত্র রাজনীতি থেকে মুক্ত।
এখন ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউট একটি বিশাল পরিবার। বর্তমানে দেশে দক্ষ ও আদর্শ চিকিৎসা সহকারী এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টের প্রয়োজন প্রকট। যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রতি বছর আমাদের ৭টি শাখা থেকে দক্ষ মেডিকেল কর্মী বেরিয়ে আসছে।
Diploma in Medical (MATS)
ম্যাটস কী…?
ম্যাটস-এর পূর্ণরূপ মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল।যেখানে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্সের উপর পড়াশোনা করানো হয়। এই কোর্স চার বছর মেয়াদী, ৪ বছরে ১১টি বিষয়ের উপর পড়াশোনা করানো হয়।পাশাপাশি এদেরকে প্রতি বর্ষে ৩ মাস করে হাসপাতালসমূহে ওয়ার্ড প্লেসমেন্ট দেওয়া হয়।এভাবে চার বছর সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর।বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে এদেরকে ডিএমএফ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল থেকে,এদের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য D ক্যাটাগরির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়ে থাকে।
ভর্তি যোগ্যতা-
জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
কর্মক্ষেত্র-
দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে সরকারি ভাবে এদেরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে।ইউনিয়ন সাবজেক্টে SACMO হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে।বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ও এনজিওতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে এমার্জেন্সি এবং অপারেশন থিয়েটার ও ওয়ার্ডের মেডিকেল এসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে।সর্বোপরি এদের রয়েছে নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখার সুযোগ।আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলের চিকিৎসাসেবায় এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা-
দেশের বিভিন্ন অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের হেল্থ সাইন্স এর উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।তাই আপনিও হতে পারেন গর্বিত ডিপ্লোমা চিকিৎসক।
Diploma in Laboratory
মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি)-
প্যাথলজি হচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের রোগ নির্ণয় একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা।সঠিক চিকিৎসার পূর্বশর্ত সঠিক রোগ নির্ণয়। সঠিক রোগ নির্ণয়ের উপর ভিত্তি করে আমাদের চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।সঠিক রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্যাথলজি বা ল্যাবরেটরি অতি সুপরিচিত নাম।প্যাথলজি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়া,সুদীর্ঘ সময় পেরিয়ে এখন এক আস্থার প্রতীক।এই প্যাথলজি বিভাগের রয়েছে বিভিন্ন উপবিভাগ মাইক্রোবায়োলজি,বায়োকেমিস্ট্রি,হেমাটোলজি,ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি,হিস্টোপ্যাথলজি,সেরোলজি এবং ট্রানস্ফিউশন বিভাগ।সাম্প্রতিককালের Covid-19 সহ অন্যান্য রোগী থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয় কাজটি করা হয় প্যাথলজি বিভাগের মাধ্যমে। এই কাজটি সম্পন্ন করেন যারা তারাই হলে মেডিকেল ল্যাবরেটরী টেকনোলজিস্ট বা চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ।
ভর্তি যোগ্যতা-
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাবরেটরী হতে চাইলে জীববিজ্ঞান সহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
শিক্ষা কার্যক্রম-
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাসের কারিকুলাম অনুযায়ী কোর্সটি ৪ বছর মেয়াদী। প্রতি বছর তিন মাস পরে ক্লিনিক্যাল প্রাক্টিস থাকবে।সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করার পর,বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে।
উচ্চশিক্ষা-
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ অধীনে ডিপ্লোমা ইন ল্যাবরেটরী কোর্স সম্পন্ন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে-
* বিএসসি ইন ল্যাবরেটরী
* এমএস বায়োকেমিস্ট্রি/এমএসফি মাইকোবায়োলজি
* এমফিল
* এমপিএইচ
সহ পিএইচডি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
কাজের ক্ষেত্র-
দেশের রাজধানী থেকে উপজেলা পর্যন্ত প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিপুল পরিমাণ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে কর্মসংস্থান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এনজিও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ফরেনসিক বিভাগে মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট পদে রয়েছে।যোগ্যতা,দক্ষতা, বিশেষ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থাকলে বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে পদবী-
* মেডিকেল টেকনোলজিস্ট
* জুনিয়ার সায়েন্টিফিক অফিসার
* সায়েন্টিফিক অফিসার/রিসার্চ অফিসার
* সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার
* বিসিএস ক্যাডার
আয়-রোজগার-
মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট কর্মজীবনের শুরুতে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি শুরু করতে পারেন।পরে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তাই এই পেশায় যোগ দিয়ে আপনিও হতে পারেন গর্বিতও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
Diploma in Radiology & Imaging
রেডিওলোজি এন্ড ইমেজিং-
একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক সেন্টার/ক্লিনিক/নার্সিং হোমসহ সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা । যেমন- এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ম্যামোগ্রাম, অ্যানজিওগ্রাম, এমআরআইসহ বিভিন্ন প্রকার ইমেজিংয়ের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন । আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সময়ে রোগ নিরাময়ের পূর্ব শর্ত হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সঠিক রোগ নির্ণয় করা । রোগ নির্ণয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ। তাই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বা রেডিওলজিক্যাল টেকনোলজিস্টদের চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। যথাযথ প্রযুক্তিগত জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব হলে এদের যেমন রয়েছে সুন্দর জীবন যাপনের জন্য পর্যাপ্ত উপার্জনের সুযোগ, তেমনি রয়েছে সামাজিক মর্যাদা ও সেবা করার অফুরন্ত সম্ভাবনা।
টেকনোলজিস্টদের আয়ের সুযোগঃ
- সরকারি,বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টার
- মেডিকেল কলেজ হাসাপতাল সমূহ
- মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত হাসপাতাল সমূহ
- হৃদরোগ হাসপাতাল সমূহের ক্যাথল্যাবে অ্যানজিওগ্রাম করার সূযোগ
- সিটিস্ক্যান বিভাগ, নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগ ও এমআর বিভাগে স্পেশাল/প্রিন্সিপাল/সুপারিনটেনডেন্ট টেকনোলজিস্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ ।
তাছাড়া একজন গ্রাজুয়েট টেকনোলজিস্ট অন্যান্য গ্রাজুয়েটের মতই সাধারণ বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাবলিক সার্ভিস অফিসার হিসেবে ও নিয়োগ পেতে পারেন।দেশের বাইরে ও নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে
এবং রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা ।
কাজের ধরন প্রস্তুতিঃ
- ১.সাধারণ সকল প্রকার এক্স-রে ও ফ্লুরোস্কপি
২.সাধারণ সকল প্রকার অ্যানজিওগ্রাম
৩.ম্যামোগ্রাফি ও প্যানোরোমিক্স রেডিওগ্রাফি
৪.সিটিস্ক্যান ও এমআরআই
৫.নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইমেজিং
৬.বোন মিনারেল ডেনসিটোমিটার
টেকনোলজিস্টদের আয়ের সুযোগঃ
প্রাথমিক অবস্থায় একজন রেডিওলজিক্যাল টেকনোলজিস্ট ১৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক আয় করতে পারেন।উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর একজন অভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক আয় করতে পারেন।
ভর্তি যোগ্যতা-
ডিপ্লোমা কোর্সে অধ্যয়নের জন্য জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বিএসসি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য এসএসসি ও এইচএসসিতে জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ এবং মোট জিপিএ ৬.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে ।
রেডিওলজিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ২০২২-২০২৩ ইং শিক্ষাবর্ষের কারিকুলাম অনুযায়ী ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং কোর্স ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি ইন রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।
বিএসসি কোর্স সমাপ্তে দেশের মধ্যে এমপিএইচ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন হেলথ প্রফেশনাল এডুকেশন কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।
বিএসসি কোর্স সমাপ্তে বিদেশে মেডিকেল ফিজিক্স, রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং টেকনোলজি এমআর ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং ইন্টারভেনশনাল রেডিওগ্রাফির উপর এমএস করার সুযোগ রয়েছে।
তাই আপনিও এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়ে হতে পারেন রেডিওগ্রাফার টেকনোলজিস্ট।
Diploma in Dental
ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট-
একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট দাঁতের সমস্যা নিয়ে কাজ করেন।
কাজের ধরন-
- ১. দাঁত বাঁধানো, উঠানো, স্কেলিং, ফিলিংসহ দাঁতের প্রাথমিক চিকিৎসা করা ও ডেন্টিসকে চিকিৎসায় সহায়তা করা।
২. চিকিৎসার যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা।
৩. চিকিৎসার যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা।
৪. ডেন্টাল ল্যাবে কাজ করা।
৫. ছোটখাটো সমস্যার চিকিৎসা দেয়া।
কর্মক্ষেত্র
- * সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
* আইনশৃঙ্খলা, সামরিক বাহিনী ও বিভিন্ন বেসামরিক চিকিৎসা বিভাগে।
* ব্যক্তিগত চ্যাম্বারে।
ভর্তি যোগ্যতা
জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নূন্যতম জিপিএ ২.৫০ পেতে হবে।
একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল) ক্যারিয়ার বিকাশের বিস্তর সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের চাহিদানুযায়ী ডেন্টাল টেকনোলজিষ্টদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এরই প্রেক্ষিতে প্রচুর পরিমাণ ডেন্টাল টেকনোলজিষ্টরা কোর্স সম্পন্ন একদিকে যেমন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে দেশের চাহিদা মেটাতে পারে অপরদিকে নিজস্ব চ্যাম্বার করেও দেশের ডেন্টাল সেক্টরে অবদান রাখতে পারে।
উচ্চশিক্ষা
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল কোর্স করার পর চাইলে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি ইন ডেন্টাল কোর্স করতে পারবেন।
অতএব, ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট কোর্স করে আপনিও হতে পারেন একজন গর্বিত ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট।
Diploma in Physiotherapy
ফিজিওথেরাপি কী?
ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক অন্যতম এবং অপরিহার্য শাখা। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক স্বাধীনভাবে রোগীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা (যেমন: বাত-ব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথা, প্যারালাইসিস, সড়ক দুর্ঘটনা, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা, বিকলাঙ্গতা, পক্ষাঘাত ও বড় কোনো অস্ত্রোপচারের পর রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন: বাত-ব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথা, প্যারালাইসিস, সড়ক দুর্ঘটনা, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা, বিকলাঙ্গতা, পক্ষাঘাত ও বড় কোনো অস্ত্রোপচারের পর রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সহ বিভিন্ন ধরনের
অস্ত্রোপচারের পর রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সহ বিভিন্ন ধরনের বাত, মাথা, ঘাড়, কাঁধ, পিঠ, কোমর ও হাঁটুর ব্যথা এবং স্পোর্টস ইনজুরিতে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন ।এই চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন ।এই চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে স্ট্রোক, ফ্রোজেন শোল্ডারসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়।
কিভাবে ট্রিটমেন্ট/চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন?
একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর রোগ বর্ণনা, ফিজিক্যাল টেস্ট, ফিজিওথেরাপিউটিক স্পেশাল টেস্ট, প্রয়োজন সাপেক্ষে বিভিন্ন রেডিওলজিক্যাল টেস্ট এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনসিস করে থাকেন। তারপর রোগীর সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা অথবা ট্রিটমেন্ট করেন এবং সেই অনুযায়ী নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করে থাকেন।
১. ম্যানুয়াল থেরাপি
২. ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি মোবিলাইজেশন
৩. মুভমেন্ট উইথ মোবিলাইজেশন
৪. থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ
৫. ইনফিলট্রেশন বা জয়েন্ট ইনজেকশন
৬. পশ্চারাল এডুকেশন
৭. আরগোনমিক্যাল কনসালটেন্সি
৮. হাইড্রোথেরাপি
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাতে মেশিনের ব্যবহার খুবই নগন্য।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ড্রাগ বা ওষুধও ব্যবহার করতে হয়।
ভর্তি যোগ্যতা
জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
কর্মক্ষেত্র
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত প্রচুর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ক্লিনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।সেই সাথে রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এসব হাসপাতাল,ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবের সংখ্যা । এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছরই দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফিজিওথেরাপি) প্রয়োজন হয়।বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবে ফিটনেস পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রচুর ফিজিও প্রয়োজন।
ফিজিওথেরাপিতে উচ্চশিক্ষা
ডিপ্লোমা ফিজিওথেরাপি কোর্স করার পর চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্স করতে পারবেন।
তাই আপনিও এই পেশায় যোগদিয়ে হতে পারেন গর্বিত
ফিজিওথেরাপিস্ট।
Diploma in OTA
ওটিএ
অপারেশন থিয়েটার এসিস্টেন্ট
এটি ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী
৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স।একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ওটিএ) অর্থাৎ অপারেশন থিয়েটার এ্যাসিস্টেন্ট অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকদের সকল সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ওটিএ) এর কাজ
১.সার্জারিতে এ্যাসিস্ট করা।
২.এনেসথেশিয়াতে এ্যাসিস্ট করা।
৩.রোগীর প্রি-অপারেটিভ, পার-অপারেটিভ ও পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার।
৪.সার্জারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা।
৫.অপারেশনের জন্য ট্রিলি ও অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করা।
৬. টেকনিক্যাল মেশিনারিজ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। যেমন:- সি আর মেশিন, অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন ল্যাপারোস্কপিক মেশিন, অপারেশনাল মাইক্রোস্কোপ মেশিন ইত্যাদি।
এছাড়াও একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ওটিএ) অর্থাৎ অপারেশন থিয়েটার এ্যাসিস্টেন্ট অপারেশন থিয়েটারের সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
অপারেশন থিয়েটার এ্যাসিস্টেন্ট
কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা
জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস.এস.সি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ পেতে হবে।
ক্যরিয়ার
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ওটিএ) অর্থাৎ অপারেশন থিয়েটার এসিস্টেন্ট নিজ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও বিদেশে গড়ে তুলতে পারেন উন্নত ক্যারিয়ার তাই আপনিও এই পেশায় যোগ দিয়ে আপনিও হতে পারেন গর্বিত অপারেশন থিয়েটার এসিস্ট্যান্ট।